| |
               

মূল পাতা রাজনীতি ইসলামী দল সন্ত্রাস-চাঁদাবাজি বন্ধে দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ চোখে পড়ছে না : মুফতী ফয়জুল করীম


সন্ত্রাস-চাঁদাবাজি বন্ধে দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ চোখে পড়ছে না : মুফতী ফয়জুল করীম


রহমত নিউজ     02 September, 2024     11:09 PM    


ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেছেন, বিগত ১৬ বছরে আওয়ামী দুঃশাসনের দেশের টাকা লুটপাট করে বিদেশে পাঁচার করেছে, সেই সকল দুর্নীতিবাজদের অবৈধ সম্পদ বাজেয়াপ্ত ও তাদেরকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণার করতে হবে। সংখ্যানুপাতিক (চজ) পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। ফলে কালো টাকার মালিক, সন্ত্রাস ও দুর্নীতিবাজরা নির্বাচনে বিজয়ী হতে পারবে না। 

তিনি বলেন, ছাত্র-জনতার রক্তস্নাত সংগ্রামের মধ্য দিয়ে অর্জিত বিজয়ে দেশবাসী আশা করেছিল, দখলদারি-চাঁদাবাজি বন্ধ হবে, কিন্তু এটি হয়নি। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির যথাযথ উন্নতি এখনো পর্যন্ত হয়নি। বিভিন্ন স্থানে দখলদারি, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও আধিপত্য বিস্তারের ঘটনা বন্ধে দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ চোখে পড়ছে না। সারা দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও জনজীবনে স্বস্তি ফিরিয়ে আনতে অন্তর্বর্তী সরকারকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে মোগড়াপাড়া চৌরাস্তা বাসস্যান্ডে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সোনারগাঁও থানা শাখার উদ্যোগে অনুষ্ঠিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মুফতী ফয়জুল করীম বলেন, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষকদের জোর করে পদত্যাগে বাধ্য করার ঘটনায়ও উদ্বেগজনক। আইন নিজের হাতে তুলে না নিয়ে কোনো শিক্ষকের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, বেআইনি কর্মকাণ্ডের অভিযোগ থাকলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে। দলের নায়েবে আমীর আরও বলেন, আমরা ইসলামের আলোকে দেশকে পরিচালিত করতে হবে। আদর্শিক পরিবর্তনের মাধ্যমে দেশকে চোর-ডাকাতমুক্ত দেশ হিসেবে গড়তে চাই।

তিনি বলেন, লুটেরা ও দুর্নীতিবাজদের আমরা দেখতে চাইনা। সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সকল দলমত, ধর্মবর্ণের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চাই। এ জন্য প্রয়োজন ইসলামী অনুশাসন। ইসলাম প্রতিষ্ঠা হলে সর্বত্র ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা হবে। জবাবদিহিতামূলক সরকার প্রতিষ্ঠা হবে।

তিনি বলেন, দীর্ঘ ৮০০ বছর পর্যন্ত ভারত উপমহাদেশ শাসন করেছে মুসলমান। যদি মুসলমান শাসকগণ চাইতেন তাহলে ভারত উপমহাদেশে একজনও হিন্দু থাকতো না। কিন্তু মুসলমানরা তা করেননি। ভারতের মোদির হিন্দু সরকার বাংলাদেশের প্রতি হিংসা পরায়ণ হয়ে নদীর বাঁধ ছেড়ে দিয়ে বাংলাদেশকে ডুবিয়ে মারার অপরিণামদর্শি খেলায় মেতে উঠেছে। এটা ভারতের নিচু মানসিকতার পরিচয়। পানি আগ্রাসন চালিয়ে ভারত আন্তর্জাতিক নদী আইন লঙ্ঘণ করেছে। এজন্য ভারতের বিচার হওয়া উচিত।

সংগঠনের সোনারগাঁও থানা শাখা সভাপতি হাজী নুরুল আমিন খানের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারী হাজী ফারুক আহমেদ মুন্সির পরিচালনায় অনুষ্ঠিত গণসমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন, দলের যুগ্ম মহাসচিব, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম। বিশেষ অতিথি ছিলেন, দলের নারায়ণগঞ্জ জেলা সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ দ্বীন ইসলাম, জেলা সেক্রেটারী মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর কবির, দীনি সংগঠনের সদর মাওলানা মুজিবুর রহমান, জয়েন্ট সেক্রেটারী মুহাম্মদ আমান উল্লাহ, শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক মুফতী ইমদাদুল্লাহ হাশেমী, শ্রমিকনেতা মুহাম্মদ ওমর ফারুক, মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুর রশীদ, ছাত্রনেতা মুহাম্মদ আশরাফ। এছাড়াও  ইউনিয়ন শাখা নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।